ভুলে ভরা তদন্তে ‘খালাস’ প্রশ্নফাঁসের আসামিরা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় বহুল আলোচিত প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দায়ের মামলায় ৩০ আসামির সবাই ‘বিচারের আগেই খালাস’ পেয়ে গেছেন। চলতি বছরের মার্চে মামলাটির অভিযোগ গঠনের (চার্জ গঠন) দিনই তারা অব্যাহতি পান। এখন তারা বিমানের কাছে চাকরি ফিরে পেতে ধরনা দিচ্ছেন। চার্জশিটভুক্ত ৩০ আসামির ২৬ জনই ছিলেন বিমানের বিভিন্ন স্তরের কর্মী। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র ও বিমান সূত্রে মিলেছে এ তথ্য।
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে চালক, জুনিয়র এমটি মেকানিক ও জুনিয়র এয়ারকন মেকানিকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) সদস্যরা প্রশ্নফাঁসে জড়িতদের গ্রেপ্তার করলে তাদের কয়েকজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছিলেন। ওই সময় ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হয়।
বহুল আলোচিত ওই ঘটনায় দায়ের মামলায় চার্জ গঠনের সময় সব আসামির খালাস পাওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ভুলের কারণে এত বড় ঘটনার আসামিরা খালাস পেয়ে গেছেন। আলোচিত এ ঘটনায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে চার্জশিট পর্যন্ত সবকিছুতেই ছিল ভুলে ভরা। শুধু একবার নয়, আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে ‘তিরস্কার’ করার পর দ্বিতীয়বার জমা দেওয়া চার্জশিটেও ভুল করেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা। যার কারণে আইনের ‘ফাঁক গলিয়ে’ দায়মুক্ত হন অভিযুক্তরা।
0 Comments