‘শাপলা চত্বরের গণহত্যা ২৫ মার্চের কালো রাতকেও হার মানিয়েছে’
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে, মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে, গণমাধ্যমকে সরিয়ে দিয়ে নিরীহ আল্লাহ ও নবীপ্রেমীদের ওপর ৫ মে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল শেখ হাসিনার তৎকালীন রক্ষীবাহিনী। হেফাজত নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপর পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির ত্রিমুখী আক্রমণ এবং নির্মম ও নিষ্ঠুর গণহত্যা আমরা ভুলিনি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আদেশে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের গণহত্যা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালো রাতকেও হার মানিয়েছে।
সোমবার সকালে পল্টনের শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর জাগপা আয়োজিত ‘৫ মে শাপলা -২০১৩ গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের দাবি’তে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাগপা মুখপাত্র বলেন, শুধুমাত্র ক্ষমতা হারানোর ভয় নয় বরং সেই রাতের গণহত্যার পেছনে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত ছিল। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাসবিহ ও জায়নামাজ হাতে নিরস্ত্র আলেম ওলামাদের ওপরে অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী এবং প্রশাসন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রাশেদ প্রধান বলেন, দেড় লাখের বেশি গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছিল, ৩৬৭ বেওয়ারিস লাশ দাফন করা হয়েছিল। সাত হাজার ৫০০ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অংশগ্রহণ করেছিল গণহত্যায়, ৬১ জন শহীদের নাম প্রকাশ করেছিল অধিকার সংগঠন। তাও শেখ হাসিনা পতনের ৯ মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেও আপনারা তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারেননি। কথাবার্তা পরিষ্কার— দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করুন। ৫ মে শাপলা গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করুন।
এ সময় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার নিন্দা ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে এর বিচারের দাবি জানান রাশেদ প্রধান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর জাগপা আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফিরোজ, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, ক্রীড়া সম্পাদক জনি নন্দী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুরসহ অনেকে।
0 Comments